হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, হুযুর (সা) সােমবার সুবহে সাদিকের সূচনাকালে জন্মগ্রহণ করেন (যারকানী, ১খ, পৃ. ১৩৩)। এ বর্ণনা যদিও সনদের দিক থেকে দুর্বল তবুও এর দ্বারা অন্যান্য বর্ণনা সময় ও মিটমাট হয়ে যায়। এজন্যে যে, কিছু কিছু বর্ণনায় জানা যায়, তিনি দিবাভাগে জন্মগ্রহণ করেন আর কিছু বর্ণনায় জানা যায়, তার জন্ম হয়েছিল রাত্রিকালে। কিন্তু সুবহে সাদিকের বর্ণনা দ্বারা এটা বলা যায় যে, তিনি পূর্বরাত্রেই জন্মগ্রহণ করেছেন অথবা এটাই বলা যায় যে, তিনি পরবর্তী দিন অর্থাৎ সােমবার দিবাভাগের (প্রারম্ভে) জন্মগ্রহণ করেন। কাজেই যেসব বর্ণনায় তিনি সােমবার দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন বলা হয়েছে, এটা যেমন সহীহ, ঠিক তেমনি তিনি পূর্ববতী রাত্রে জন্মগ্রহণ করেছেন বলে যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তা-ও তেমনি সহীহ।
এছাড়া এটাও বলা যায় যে, যদিও তিনি সুবহে সাদিকে জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু এর সূচনা হয়েছিল পূর্ববতী রাত্রে। ইবন আসাকির ও যুবায়র ইবন বুকার মারূফ ইবন খারলু থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সা) সােমবার ফজর উদয়কালে জন্মগ্রহণ করেন (খাসাইসুল কুবরা, ১খ, পৃ. ৫১)। ইবন হিব্বান মারূফ ইবন খারলুযের বক্তব্যকে সত্যায়ন করেছেন। আবু হাতিম বলেন, ইবন খারলুযের হাদীস উল্লেখ করার মত, যেমনটি খুলাসাতুত-তাহযীব গ্রন্থে বর্ণিত আছে, সত্য ও হিদায়াতের সূর্য উদিত হওয়ার জন্য সুবহে সাদিকই উপযুক্ত সময় বলে মনে হয়, যার মধ্যাহ্ন চল্লিশ বছর পর হবে। আল্লাহই ভাল জানেন।
বইঃ সীরাতুল মুস্তফা সা.
লেখকঃ আল্লামা ইদরীস কান্ধলভী (রহ.)
প্রকাশকঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
খুবি ভাল লাগলো ধন্যবাদ
ReplyDelete