কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম
লেখক : প্রফেসর ড. খন্দকার আ.ন.ম আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
সম্পাদনা: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
বাংলাদেশের খৃস্টান ধর্ম প্রচারকগণ বলে থাকে যে, তাওরাত-ইঞ্জিল না পালন করে কোনো মুসলিম মুক্তি পাবে না। আমরা নাসারা-খৃস্টান নই; আমরা মুসলিম, আমরা ঈসায়ী মুসলিম। আমরা মুহাম্মাদকে মান্য করি, কুরআন ও সকল ধর্মগ্রন্থ মান্য করি। শুধু ঈসায়ী তরীকা গ্রহণ করি। শুধু ভক্তির জন্য ঈসাকে আল্লাহর পুত্র বলি।
তারা আরো বলে আমরা বাইবেল মানি না; বরং কিতাবুল মোকাদ্দস মানি। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু আরবদের সতর্ক করতে এসেছিলেন, আর ঈসা মাসীহ বিশ্বের পাপীদের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছেন।
ঈসা মাসীহ যেহেতু আবার আসবেন; কাজেই তার উপর ঈমান এনে আগেই প্রস্তুতি নেওয়া ভাল। ঈসা মাসীহ জীবিত কিন্তু মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত;( নাউজুবিল্লাহ) জীবিতের কাছেই যেতে হবে। ঈসা মাসীহ জীবিতকে মৃত করেছেন কিন্তু মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেন নি; কাজেই ঈসা মাসীহই বড়।
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষ খুন করেছেন; কাজেই তিনি শান্তির দুত নন; ঈসা মাসীহ শান্তির দূত! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাপী,(নাউজুবিল্লাহ) কাজেই তিনি কিয়ামতে শাফা‘আত করতে পারবেন না; ঈসা মাসীহ নিষ্পাপ, তিনিই শাফা‘আত করবেন। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃদ্ধ বয়সে কিশোরী মেয়ে বিবাহ করেন, কাজেই তাঁর চরিত্র ভাল ছিল না।(নাউজুবিল্লাহ) .... এ জাতীয় আরো অনেক নোংরা কথা। এ সকল কথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে এবং মুসলিমদের আহত করছে।কাজেই তাদের সন্দেহগুলোর জবাব দেওয়ার জন্য এ পুস্তিকাটির রচনা।
অসাধারণ
ReplyDelete