আত্নশুদ্ধি -মুফতি মুহাম্মদ শফি রহ.

0

 



পার্থিব জীবনে অনাবিল সুখ ও পরকালে চিরশান্তি লাভের উপায়

"আত্মশুদ্ধি"


মূল লেখক : মুফতী মুহাম্মাদ শফী (রহঃ)

মুফতীয়ে আযম, পাকিস্তান।


সংযোজিত

দৈনন্দিন আমল ও আত্মশুদ্ধির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস

মূল: ডাঃ আবদুল হাই আরেফী (রহঃ)


অনুবাদ

মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান খান 

দাওরা ও ইফতা জমি'আ ফারুকিয়া, করাচী

উস্তাযুল হাদীস : জামি'আ ইসলামিয়া, ঢাকা

খতীব: রাজারদেউরী জামে মসজিদ, ঢাকা


বইয়ের কিছু অংশ পাঠক দের জন্য তুলে ধরা হলো।

তাছাওউফের হাকীকত

বিগত মজলিস সমূহের আলোচনা দ্বারা একথা স্পষ্ট হয়েছে যে, মানুষ হচ্ছে ভেতর এবং বাহির তথা দেহ ও আত্মার সমষ্টির নাম। কুরআন ও হাদীছ শরীফে মানুষের সংশোধন ও সাফল্যের পরিপূর্ণ বিধানের যে কথা বলা হয়েছে, তার সম্পর্ক মানুষের দেহ এবং আত্মা উভয়ের সাথে। মানুষের সুবিধার জন্য বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে সম্পৃক্ত আহকাম যেমন, ইবাদাত, বিবাহ, তালাক, লেন-দেন, চুক্তি-পত্র ইত্যাদিকে 'ইলমে ফিকাহ' নামে সংকলিত করা হয়েছে। পক্ষান্তরে মানুষের অভ্যন্তর তথা আত্ম্য ও রুহের সাথে সম্পৃক্ত আহকামসমূহ যেমন, আকাইদ ও আখলাককে 'ইলমে আকাইদ' ও ইলমে তাছাওউফ' নামে ভিন্ন ভিন্নভাবে সংকলিত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ সকল কিছুই কুরআন ও হাদীছের শিক্ষার ভিন্ন ভিন্ন শাখা। এগুলোর প্রতিটিকে অপরটি থেকে পৃথক এ অর্থে বলা যায়, যেমন, হাত পৃথক অঙ্গ, পা পৃথক অঙ্গ, চোখ, কান, নাক, অন্তঃকরণ, কলিজা, পাকস্থলী ইত্যাদি পৃথক অঙ্গ। কিন্তু পূর্ণ মানব দেহ এ সবগুলোর সমন্বয়েই গঠিত। যেরূপভাবে এ সকল অঙ্গের কোন একটিকে নিয়ে আর অপরটিকে বাদ দিয়ে মানুষ চলতে পারে না এবং এর কোনটিই অপর আঙ্গের বিরোধী নয়। একটির ক্রিয়া-কর্ম অপরটির ক্রিয়া-কর্মের সাথে সাংঘর্ষিকও নয়, তদ্রুপভাবে ইলমে আকাইদ', 'ইলমে ফিক্হ', 'ইলমে তাছাওউফ' যদিও পৃথক পৃথক ইলম ও বিষয়, কিন্তু কেবলমাত্র এ সকল বিষয়ের প্রতিটির সমষ্টির উপর আমল করার দ্বারাই কামেল মুমিন ও মুসলিম হওয়া যায়।


উপরোক্ত সকল বিষয়ের উপর আমল করার দ্বারাই কুরআন-হাদীছের অনুসরণ ও অনুকরণের সৌভাগ্য লাভ হয়। এগুলোর কোন একটিকে গ্রহণ করে অপরটি থেকে মুখ ফিরিয়ে দেওয়াটা এমনই ধ্বংসাত্মক, যেমন, কেউ কান হিফাজত করলো কিন্তু চক্ষুকে ধ্বংস করে দিলো। ফিকাহকে ডাছাওউফের কিংবা তাছাওউফকে ফিকাহর পরিপন্থী মনে করা, কানকে চোখের পরিপন্থী মনে করারই নামান্তর। যে সকল লোককে আল্লাহপাক কুরআন ও হাদীছের এ সকল বিষয়ের উপর এক সাথে আমল করার তাওফীক দিয়েছেন, কেবলমাত্র তারাই এ সকল বিষয়ের হাকীকত অনুধাবন করে থাকেন। এ শ্রেণীর মহান বুযুর্গদের বক্তব্য থেকেই এ ইলম ও বিষয়ের সঠিক পক্ষিশন ও মর্যাদা জানা যাবে।


 


Post a Comment

0Comments

আপনার মুল্যবান মন্তব্য আমাদের সামনে আগানোর প্রেরণা যোগায়।

Post a Comment (0)